রহমত নিউজ ডেস্ক 05 August, 2023 07:21 PM
এখন থেকে শান্তি সমাবেশের পরিবর্তে অশান্তি সমাবেশ নামকরণের আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, এতে মানুষ ধোকা থেকে বাঁচতে পারবে। গত ২৮ জুলাই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠিত যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হাফেজ রেজাউল করিমকে নির্মমভাবে খুন করে শান্তি সমাবেশের আসল চরিত্র প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে রেজাউলের খুনিদের গ্রেফতার করুন। সরকার আলেম-হাফেজদের খুনিদের আড়াল করলে এই সরকার খুনি সরকার হিসেবে পরিগণিত হবে। সরকারের জনসমর্থন তলানীতে। মাইকিং করেও ভোট কেন্দ্রে আনতে পারছে না। যা আসছে তাও আবার ১০ ভাগের কম। সরকারের পক্ষে এর চেয়ে বেশি জনসমর্থন নেই। আরো আছে চাঁদাবাজ, গুন্ডা ও মাস্তান। এর মাধ্যমে সরকার পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে আছে। সরকার বিরোধী দলের কর্মসূচির দিন শান্তি সমাবেশের নামে সমাবেশ ডেকে অশান্তি সৃষ্টি করে।
শনিবার (৫ আগস্ট) শনিবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সরকারি দলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করীম হত্যা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নূরুল ইসলাম নাঈম, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মুফতী ফরিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ।
অবিলম্বে কারাবন্দি আলেমসহ বিরোধী নেতাদের মুক্তি দাবি করে মাওলানা ইউনুছ আমাদ বলেন, এই সরকারের আমলে অনেক আলেম-হাফেজ খুন হয়েছে। অনেক আলেম এখনো কারানির্যাতিত অবস্থায় আছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষ অসহায় জীবন যাপন করছে। অনেক শ্রমিক মিল-কারখানা বন্ধে হাহাকার করছে। অনেক কৃষক কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম না পেয়ে কান্না করছে। জালিম ও ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন অংশ নেবে না এবং দেশের অধিকাংশ নিবন্ধিত দলও অংশ নেবে না। কাজেই সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা বক্তব্যে বলছেন, খেলা হবে, আমরাও বলছি খেলা হবে, তবে পুলিশ বাদ দিয়ে আসুন, খেলা হবে। ভারতের হরিয়ানায় উগ্রবাদী বিজেপির আক্রমনে মসজিদে আগুন, মসজিদের ইমামসহ বেশ কয়েকজন মুসলমান হত্যা করে ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী ভারত চরম উগ্রতার পরিচয় দিয়েছে। ভারতের মুসলিমবিদ্বেষীর কর্মকান্ডকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। হরিয়ানায় খুনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের দাবি জানান তিনি।